অন্যান্য দেশ প্রচ্ছদ 

Indian National Congress : রাহুল-প্রিয়াঙ্কার নেতৃত্বেই দেশ বাঁচানোর লড়াইয়ে কংগ্রেস ঘুরেই দাঁড়াবেই!

শেয়ার করুন

মিডিয়ার প্রচারনায় শতাব্দী প্রাচীন কংগ্রেস দল নাকি অস্তিত্বের সংকটে পড়েছে ! বিষয়টি কতটা বাস্তব ? কেন সংকট তৈরি হচ্ছে? ক্ষমতায় থাকার সময় সব মধু খাওয়ার পর এখন কেন গান্ধী পরিবারকে নিশানা করছেন কপিল-আজাদরা? রহস্য কী? তা নিয়ে কয়েক কিস্তি ধারাবাহিকভাবে বিশ্লেষণ করবেন সেখ ইবাদুল ইসলাম ।

আজ দ্বিতীয় কিস্তি।

Advertisement

সেখ ইবাদুল ইসলাম : আরএসএস মুক্ত ভারত গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন জওহরলাল নেহেরু । তিনি বুঝতে পেরেছিলেন মহাত্মা গান্ধীর মতো সহনশীল হিন্দুত্ববাদীরাও এদের কাছে নিরাপদ ছিলেন না । সুভাষচন্দ্র বসুও বিরোধী ছিলেন । তিনি চেয়েছিলেন কংগ্রেস দলকে সম্পূর্ণভাবে ধর্মনিরপেক্ষ করে তুলতে । সময়ের অভাবে সেটা সম্ভব হয়নি । কিন্ত আমরা আজ দেখছি ওই সব চিন্তাভাবনার মধ্যে কতটা স্বচ্ছতা ছিল । আজকের দিনে যে সরকার কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন সেই সরকারের দেশ গঠনে সম্পূর্ণ ব্যর্থ । ৭০ বছরে দেশের ভান্ডারে যেসব সম্পদ জমা পড়েছিল তা এখন বিক্রি হয়ে যাচ্ছে । এয়ার ইন্ডিয়া থেকে রেল, রেল থেকে এলআইসি সবই বিক্রি হচ্ছে, আর দেশের মানুষ হিন্দু মুসলিম নিয়ে মেতে রয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে আরএসএস মুক্ত ভারত গড়ার ডাক দিয়েছেন রাহুল গান্ধী । এই ডাকেই টনক নড়েছে আরএসএস -বিজেপির । তারা বুঝতে পারছেন রাহুলের সামাজিক প্রশ্নের সামনে উত্তর দেওয়ার মতো কেউ নেই । প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এখন পর্যন্ত সাংবাদিক সম্মেলন করেননি । যেটা গণতান্ত্রিক দেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছে কাম্য নয় । এরপরেও প্রশ্ন তোলার কেউ নেই । চোখে চোখে একমাত্র প্রশ্ন করছেন রাহুল -প্রিয়াঙ্কা । অন্য যেসব নেতা নেত্রী বিজেপি বিরোধী বলে পরিচিত তাঁরা সবাই মোদীর সমালোচনা করার পাশাপাশি কংগ্রেসকেও আক্রমণ করে থাকেন। এটাই পরম্পরা । তথাকথিত বিরোধী রাজনৈতিক দলের একজন নেতাকেও খুঁজে পাওয়া যাবে না যাঁরা অন্তত দেশ বাঁচানোর স্বার্থে কংগ্রেসকে আক্রমণ করেননি । বরং কংগ্রেস দল বিজেপিকে রোখার স্বার্থে অন্য ধর্মনিরপেক্ষ দলের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেছে ।

এই প্রেক্ষাপটে রাহুল গান্ধী স্পষ্ট বুঝতে পেরেছেন, আঞ্চলিক দলগুলি বিজেপি বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে পারবে না। তা একমাত্র কংগ্রেস পারবে।  সেজন্য কংগ্রেস দলের কাঠামোতে বদল আনতে চলেছেন রাহুল-প্রিয়াঙ্কা। আর এক্ষেত্রে তাঁদের দৃষ্টিতে প্রথম গুরুত্ব পাচ্ছেন সেই সব নেতা-কর্মী যারা নিরবে দলের জন্য কাজ করছেন, আর যাঁরা বিজেপি আরএসএস বিরোধী তাঁরা। সেই কাজে অনেকটাই সফল হয়েছেন রাহুল-প্রিয়াঙ্কা। কানাহাইয়া কুমার থেকে জিগনেশ মেবানী, চরণ সিংহ চান্নীর মতো দলিত সম্প্রদায়ের নেতাকে পঞ্জাবের মতো রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কুরসিতে বসানো হিম্মত দরকার । সেই হিম্মত দেখাতে পেরেছেন রাহুল প্রিয়াঙ্কারা।

সংখ্যালঘু সমাজ থেকে যোগ্য নেতৃত্ব কংগ্রেস তুলে আনতে পারলেই তাদের কাজ অনেক সহজ হয়ে যাবে । একথা অস্বীকার করার উপায় নেই কংগ্রেস সংখ্যালঘুেএবং পিছিযে পড়া সমাজের স্বার্থে যে কাজ করতে পেরেছে তা অন্যরা পারেনি। — এরপর আগামী সংখ্যায়


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ